WikiIslam:Sandbox/সুনিতা উইলিয়ামস (ইসলামে ধর্মান্তর): Difference between revisions
(Translation of the page named "Sunita Williams (Conversion to Islam)" into বাংলা (Bengali)) |
mNo edit summary |
||
(4 intermediate revisions by the same user not shown) | |||
Line 60: | Line 60: | ||
<references group=""></references> | <references group=""></references> | ||
[[Category:ভুয়া ধর্মান্তর (Bengali)]] | [[Category:ভুয়া ধর্মান্তর (Bengali)]] | ||
[[Category:বাংলা (Bengali)]] | [[Category:বাংলা (Bengali)]] |
Latest revision as of 04:08, 12 November 2020
সুনিতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) (জন্ম ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫) যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এবং নাসার মহাকাশচারী। তিনি এক্সপিডিশন ১৪ এর সদস্য হিসাবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নিযুক্ত হন এবং তারপর এক্সপিডিশন ১৫ তে যোগদান করেন। নারী মহাকাশচারীদের মধ্যে তিনি দীর্ঘতম মহাকাশ ভ্রমনের (১৯৫ দিন) রেকর্ডধারী।
তাঁর বাবা ড. দীপক পান্ডে একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং তাঁর মা বন্নী পান্ডে একজন খ্রিস্টান। সুনিতা উইলিয়ামসের উভয় ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি অনুরাগ আছে[1] এবং একজন গনেশ ভক্ত হিসেবে পরিচিত[2]।
দাবি
বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফোরাম এবং প্রচুর শেয়ার হওয়া ইমেইল অথবা গন মেসেজে দাবী করা হয় যে, সুনিতা উইলিয়ামস চাঁদ থেকে ফেরার পর হিন্দুধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
এখানে কয়েকটি দাবীর উদাহরণ দেওয়া হল :
বিশ্লেষণ
লিখিত দাবিসমূহ
উপরের দাবির বিপক্ষে,সুনিতা উইলিয়ামস চাঁদে নয়, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিল। শেষ চাঁদে অবতরণের ঘটনা ঘটে (এপোলো ১৭) ১৯৭২[6] সালের ৭ ডিসেম্বর।এখন পর্যন্ত ইউজিন এন্ড্রিও স্যারমান ই শেষ ব্যাক্তি যে চাঁদে হেটেছিল।[7]
এমনকি তিনি “মহাকাশ ভ্রমনকারী প্রথম ভারতীয় নারী” নন। ভারতীয়-আমেরিকান নভোচারী কল্পনা চাওলা ছিলেন মহাশুন্যে যাত্রাকারী প্রথম ভারতীয় নারী।[8]
দাবী করা হয়েছে যে, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পৃথিবীতে ফিরেই তাঁরা ইসলাম গ্রহন করবে। যাইহোক, সুনিতা উইলিয়ামস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন যাত্রা কালে তিনি ভগবত গীতার একটি সংকলন এবং ভগবান গণেশের একটি ছোট প্রতিমূর্তি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।[9] ২২ জুন ২০০৭ এ পৃথিবীতে ফেরার পর ইসলাম গ্রহন করার কোন লক্ষনই দেখান নি তিনি। বাস্তবে তিনি দাবি করেছেন,আল্লাহ্ নয় বরং ভগবান গণেশ তাকে দেখে রেখেছেন।
উইলিয়ামস, আন্তর্জাতিক মহাকাশ ষ্টেশনে ১৯৫ দিন অতিবাহিত করার পর ২২ জুন ফিরে এসে বলেন যে, চাঁদে না হলেও সে মঙ্গলে যেতে আগ্রহী।
. . .
তিনি আরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুরো ভারতবাসীকে,বিশেষ করে তাঁর নিজের রাজ্য গুজরাটবাসীদেরকে, যারা পৃথিবীতে তাঁর নিরাপদে ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা করেছিল।
উইলিয়ামস আনন্দের সাথে জানান, স্পেস স্টেশনে দীর্ঘ পীড়াদায়ক মুহূর্তগুলোতে ভগবান গীতার একটি সংকলন এবং ভগবান গণেশের একটি প্রতিমূর্তি সঙ্গে রাখার কথা। “আমি জানতাম গণেশ আমাকে দেখে রেখেছিল,” তিনি বলেছিলেন।
তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী সভায় যোগদানের জন্য হায়দ্রাবাদ সফর করবেন তারপর তিনি গুজরাট এবং দিল্লীর আত্নীয় স্বজনের সাথে দেখা করবেন।[10]তিন মাসেরও বেশী সময় পরে অক্টোবর ২০০৭ এ ইন্ডিয়া টুডে’র এক সাক্ষাৎকারে তিনি চাঁদে যাওয়ার ইচ্ছার পুনরাবৃত্তি করেন।
. . .
উইলিয়ামস মহাকাশে ভগবান গণেশের প্রতিমূর্তি এবং ভগবত গীতার একটি সংকলন নিয়েছিলেন সাথী হিসেবে। তিনি তার মহাকাশ যাত্রার আগে গুরুত্বের সাথে কখনো গীতা পড়েননি, যদিও তার বাবা তাকে শৈশবে মহাকাব্য – রামায়ণ ও মহাভারত এর কথা বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেন (উইলিয়ামস): “মামুলি শোনালেও,এটি আপনাকে শান্ত করবে। পৃথিবীর চারপাশে আবর্তিত ছোট্ট এক মহাকাশযানে, আপনি অনেক কিছু করছেন, কখনও কখনও এগুলোকে কাজ মনে হয় … সম্ভবত আপনি ভুলে গিয়েছেন কোথায় আছেন, আপনি কি করছেন … কিন্তু গণেশ বা গীতা আপনাকে ফিরিয়ে আনবে। অর্জুনের বিচার ও কষ্টের কথা পড়তে ভালো লাগে এবং এটা আপনার জীবনের দৃষ্টিকোণটাকে ধরে রাখে।”
. . .
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায় যে, ২০১২ সালে সুনিতা মহাকাশ ভ্রমণের সময় উপনিষদের ইংরেজী অনুবাদ বহন করবে :
. . .
নভোচারী তার দ্বিতীয় স্থান অডিজিতে কোয়ারেন্টাইনে (প্রস্তুতিমূলক এমন গোপনীয় জায়গা যেখানে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকতে হয় এবং সব ধরনের রেস্টিকশন থাকে) যেতে প্রস্তুত, যার ফলে পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখা আরও কঠিন হয়ে উঠবে। উইলিয়ামস ২০০৬ সালে ছয় মাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কাজ করেছিলেন। তিনি কাজাকিস্তানের বাইকোনুর কসমেড্রোম (মহাকাশ যান চলাচলের পোর্ট) থেকে দুজন অন্যান্য মহাকাশচারী, একজন রাশিয়ান এবং একজন জাপানী নাগরিকের সাথে উড্ডয়ন করবেন।[12]
অতিপ্রাকৃত ছবি
বিভিন্ন দাবিতে আরও বলা হয়েছে যে, উইলিয়ামস চাঁদের উপর থাকাকালে অলৌকিক ঘটনা দেখেছিলেন, যেখানে সমগ্র পৃথিবী অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল,শুধুমাত্র মক্কার ও মদিনা বাদে, যা “স্ফুলিঙ্গের” এর মত জ্বলছিল।
এই দাবিগুলির সঙ্গে ছিল ইসলামের সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান, মক্কার মসজিদ আল হারাম এবং মদিনায় মসজিদ আল-নববী শীর্ষস্থানীয় ছবি।[13] এসকল স্থাপনাগুলো উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত ছিল যার চারপাশ অন্ধকার দিয়ে ঘেরা।
এই নির্দিষ্ট চিত্র গুলোর ইন্টারনেটের মাধ্যমে ২০০৬ সালের মে মাসে মুসলিমদের কাছে ছড়িয়ে পড়েছিল।[14] উইলিয়ামস ২০০৬ সালের ৯ ডিসেম্বর তাঁর সহযাত্রী সহ উড্ডয়ন করেন এবং ২০০৬ সালের ১১ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নোঙর ফেলেন।[15] অলৌকিক চিত্র গুলো প্রকাশের ছয় মাস পরে!!
আসল ছবি গুলোর প্রকৃত উৎস spaceimaging.com, এবং ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরের।[16] যদিও মসজিদ আল হারাম এবং মসজিদ আল-নববী এই ছবি গুলোতে বেশ আকর্ষণীয় বলে মনে হয়, তবে এই প্রতিফলক সাদা মার্বেলে নির্মিত স্থাপনা গুলোতে অতিপ্রাকৃত কিছুই নেই, এবং এদের চারপাশ ঘিরে অন্ধকারও নেই।
এই ইমেজ গুলো ওয়াটারমার্ক মুক্ত সংস্করণ গুলো spaceimaging.com যা ৪ এমবি ডাউনলোডের মতো বড়, বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয় তবে যে এই ধাপ্পাবাজির পিছনে ছিল সে কিনে নেয় নি। বিক্ষিপ্ত চিত্র গুলোর কাছে থেকে দেখলে ওয়াটারমার্ক গুলো এখনও দৃশ্যমান।
- Error creating thumbnail: Unable to save thumbnail to destination
spaceimaging.com থেকে নেয়া আসল ছবি (আনডকটরড)
- Error creating thumbnail: Unable to save thumbnail to destination
২০০৬ সালের মে মাসের ওয়াটারমার্ক সহ ডক্টরড ছবি
- Error creating thumbnail: Unable to save thumbnail to destination
সুনিতা উইলিয়ামস এর দাবি সহ একই ডকটরড ছবি
উপসংহার
সমস্ত প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে যে, সুনিতা উইলিয়ামস মহাকাশে উড়ে যাওয়ার প্রথম ভারতীয় বংশদ্ভুত নারী নয় এবং তিনি চাঁদে যাননি। তিনি বিশ্বাস করেন যে, প্রভু গণেশ মহাকাশে তার দেখাশোনা করছেন এবং পৃথিবীতে ফেরার পর তাঁর ভারত সফরও গণেশ উদযাপনের দিনের সাথে মিলে যায়।[2]
অধিকন্তু, যে ছবিগুলোকে ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রমান হিসেবে ব্যবহার করা হয় যা তিনি প্রত্যক্ষদর্শন করে অলৌকিক ছবি গুলো তুলেছেন দাবী করা হয়েছে, সহজলভ্য ছবিগুলো ২০০৬ সালের মে তে পাওয়া গেছে পরিবর্তিত অবস্থায় অথচ নেটে আসল যে ছবিগুলো পাওয়া যায় সেগুলো ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালের।
সুতরাং,এমন দাবির কোনও প্রমাণ নেই যে,
সুনিতা উইলিয়ামস, বা অন্য কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি স্পেস বা চাঁদে কখনও কোনও অলৌকিক ঘটনা দেখেছেন, কিংবা তারা পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করার পরে ইসলামেও ধর্মান্তর করতে সম্মত হয়েছেন।
আরও দেখুন
- উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন মুসলিম
- ভুয়া ধর্মান্তরসমূহ - একটি হাব পেইজ যেখানে ভুয়া ধর্মান্তর সম্পর্কিত অন্যান্য নিবন্ধ রয়েছে
তথ্যসূত্র
- ↑ Bhagavad Gita, Lord Ganesha took care of me in space: Sunita - Indo-Asian News Service, July 20, 2007
- ↑ 2.0 2.1 Meghdoot Sharon - Red carpet welcome awaits Sunita Williams in Gujarat - CNN-IBN, September 18, 2007
- ↑ Sunita Williams - MossaviModel, December 5, 2008
- ↑ Sunita Williams reverting to islam??? - TheRevivalForum, March 3, 2010
- ↑ Sunita Williams Reverts! - UmmahForum, September 19, 2007
- ↑ Moon landing - Wikipedia, accessed February 26, 2011
- ↑ List of Apollo astronauts - Wikipedia, accessed February 26, 2011
- ↑ Kalpana Chawla - Wikipedia, accessed February 27, 2011
- ↑ With Ganesh, the Gita and samosas, Sunita Williams heads for the stars - SiliconIndia, December 11, 2006
- ↑ Sunita Williams now eyes travel to Mars - PTI News, July 21, 2007
- ↑ Raj Chengappa - The real Ms Universe - India Today, October 9, 2007
- ↑ Bharat Yagnik - Upanishads to fire Sunita Williams’ spiritual odyssey in space - Times of India, July 2, 2012
- ↑ Indian astronaut accepts Islam - Bouncy News, August 15, 2011
- ↑ Satellite pic of Makkah & Madinah - Webshots.com, image uploaded by user "Mullasahab", May 20, 2006
- ↑ Indian-American astronaut Sunita Williams to travel to space again in 2012 - The Times of India, July 10, 2010
- ↑ Satelite Images of the Holy Cities - Islam.tc, accessed November 8, 2011