WikiIslam:Sandbox/ইসলাম কেন 'সন্ত্রাসবাদ' কে সমর্থন করে: Difference between revisions
m (i'll be back insha Allah.) |
No edit summary |
||
(4 intermediate revisions by 4 users not shown) | |||
Line 1: | Line 1: | ||
{{Quote|{{Bukhari|4|52|220}}, See also: {{Muslim|4|1062}}, {{Muslim|4|1063}}, {{Muslim|4|1066}}, and {{Muslim|4|1067}}|আমাকে বিজয়ী করা হয়েছে ( শত্রুর হৃদয়ে ) ভয় সৃষ্টি করার মাধ্যমে }} | {{Quote|{{Bukhari|4|52|220}}, See also: {{Muslim|4|1062}}, {{Muslim|4|1063}}, {{Muslim|4|1066}}, and {{Muslim|4|1067}}|আমাকে বিজয়ী করা হয়েছে ( শত্রুর হৃদয়ে ) ভয় সৃষ্টি করার মাধ্যমে }} | ||
অনেক ইসলামী (সন্ত্রাসবাদী) | অনেক ইসলামী (সন্ত্রাসবাদী) সংগঠন ব্যাখ্যা করেছে ইসলামে([[Islam]]) কেন সন্ত্রাসবাদের অনুমতি আছে । হামাস এবং আল কায়েদা([[Al Qaeda]]) এর মত সংস্থাগুলো এর ব্যাখ্যা দিয়েছে কুরআন([[Qur'an]]) এবং হাদিস([[Hadis]]) থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে । | ||
==পবিত্র কুরআনে এর | ==পবিত্র কুরআনে এর সত্যতা== | ||
===একজন মুসলিমকে হত্যা করা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করা=== | ===একজন মুসলিমকে হত্যা করা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করা=== | ||
Line 23: | Line 23: | ||
সাইফুল্লাহ([[Saifullah]]) শায়খ ওসামা বিন লাদেন([[Osama Bin Laden]]) (জন্মগ্রহণ ১৯৫৭), সেপ্টেম্বর ১১ (সন্ত্রাসী আক্রমণ)([[September 11 (Terrorist Attacks)|September 11 attacks]]) এর জন্য বহুল পরিচিত, সন্ত্রাসবাদকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রমাণ করার জন্য আল কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়েছেন,<ref>[http://www.jihadunspun.com/intheatre_internal.php?article=109033&list=/home.php Sheikh Osama bin Laden’s speech to the people of Pakistan] - Translated From Urdu By Ahmed Al-Marid, September 26, 2007</ref> such as: | সাইফুল্লাহ([[Saifullah]]) শায়খ ওসামা বিন লাদেন([[Osama Bin Laden]]) (জন্মগ্রহণ ১৯৫৭), সেপ্টেম্বর ১১ (সন্ত্রাসী আক্রমণ)([[September 11 (Terrorist Attacks)|September 11 attacks]]) এর জন্য বহুল পরিচিত, সন্ত্রাসবাদকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রমাণ করার জন্য আল কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়েছেন,<ref>[http://www.jihadunspun.com/intheatre_internal.php?article=109033&list=/home.php Sheikh Osama bin Laden’s speech to the people of Pakistan] - Translated From Urdu By Ahmed Al-Marid, September 26, 2007</ref> such as: | ||
{{Quote|{{Quran|9|73}}|হে নবী! কাফির এবং মুনাফিকদের বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রাম কর, এবং তাদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন কর । তাদের চূড়ান্ত | {{Quote|{{Quran|9|73}}|হে নবী! কাফির এবং মুনাফিকদের বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রাম কর, এবং তাদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন কর । তাদের চূড়ান্ত আবাসস্থল হবে জাহান্নাম এবং এটি বড়ই নিকৃষ্ট স্থান ।}} | ||
{{Quote|{{Quran|5|51}}|হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা কখনই ইহুদি খ্রিস্টানদের নিজেদের বন্ধু এবং রক্ষাকারী হিসেবে গ্রহন করো না । (কেননা) এরা নিজেরাই (সব সময়) একে অপরের বন্ধু ; তোমাদের মধ্যে কেউ যদি এদের কাউকে বন্ধু বানিয়ে নেয় তাহলে সে তাদেরই দলভুক্ত হয়ে যাবে ; আর আল্লাহ কখনো যালিম সম্প্রদায়কে হেদায়াত দান করেন না ।}} | {{Quote|{{Quran|5|51}}|হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা কখনই ইহুদি খ্রিস্টানদের নিজেদের বন্ধু এবং রক্ষাকারী হিসেবে গ্রহন করো না । (কেননা) এরা নিজেরাই (সব সময়) একে অপরের বন্ধু ; তোমাদের মধ্যে কেউ যদি এদের কাউকে বন্ধু বানিয়ে নেয় তাহলে সে তাদেরই দলভুক্ত হয়ে যাবে ; আর আল্লাহ কখনো যালিম সম্প্রদায়কে হেদায়াত দান করেন না ।}} | ||
Line 31: | Line 31: | ||
====ড. জাকির নায়েক==== | ====ড. জাকির নায়েক==== | ||
কয়েকজন সুনির্দিষ্ট পণ্ডিত যেমন ড. জাকির নায়েক ([[Zakir Naik]]) (জন্মগ্রহণ অক্টোবর ১৮, ১৯৬৫) | কয়েকজন সুনির্দিষ্ট পণ্ডিত যেমন ড. জাকির নায়েক ([[Zakir Naik]]) (জন্মগ্রহণ অক্টোবর ১৮, ১৯৬৫) বলেছেন যুদ্ধ এবং সমাজের অপকর্মগুলোকে (যেগুলো ইসলামী দৃষ্টিতে) প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সকল মুসলিমকেই সন্ত্রাস হওয়া উচিত, কিন্তু তিনি এরকম সন্ত্রাসবাদকে অস্বীকার করেছেন যেটা নির্দোষ জনসাধারণকে আক্রমণ ও হত্যা করে । তিনি এর পেছনে এই যুক্তি দান করেন যে, নিম্নোক্ত কুরআনের আয়াতগুলো কেবলমাত্র যুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । তাঁকে নিম্নোক্ত আয়াতটি সম্পর্কে তার মতামত জানতে চাইলে | ||
{{Quote|{{Quran|8|60}}|" | {{Quote|{{Quran|8|60}}|"তাদের (সাথে যুদ্ধের) জন্য যথাসাধ্য সাজ-সরঞ্জাম, শক্তি ও ঘোড়া প্রস্তুত রাখবে এবং এ দিয়ে তোমরা আল্লাহর দুশমন ও তোমাদের দুশমনদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে দেবে ।"}} | ||
তিনি উত্তরে বললেন: | |||
{{Quote||" | {{Quote||"প্রত্যেক মুসলিমকেই সন্ত্রাস হওয়া উচিত । একজন সন্ত্রাস হল সেই ব্যক্তি যে ত্রাস সৃষ্টি করে । একজন ডাকাত যেই মাত্র একজন পুলিশকে দেখে তখনি তার মনে ত্রাস সৃষ্টি হয় । এখানে একজন পুলিশ হলেন ডাকাতটির জন্য একজন সন্ত্রাস । আর একজন মুসলিমকে হতে হবে একজন সন্ত্রাস ডাকাত এবং অন্যান্য সকল অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য ।"<ref>[http://www.scribd.com/doc/17424528/Islam-and-Terrorism-by-Dr-Zakir-Naik Islam and Terrorism] - Dr Zakir Naik</ref><ref>Dr Zakir Naik - [http://www.ilovezakirnaik.com/misconceptions/a05.htm Why are most of the Muslims fundamentalists and terrorists?] - Misconceptions About Islam (FAQs)</ref>}} | ||
== | ==হাদীসে এর গ্রহণযোগ্যতা== | ||
=== | ===অসামরিকরা লক্ষ্যবস্তু=== | ||
সন্ত্রাসবাদীরা সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি অসামরিকদের আক্রমণকে গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের ক্ষেত্রে মুহম্মদ (সঃ) এবং তার সাহাবীদের দ্বারা মদিনা দিয়ে অতিক্রমকারী মক্কার কুরাইশদের অনেকগুলো কাফেলা আক্রমণকে (Caravan Raids)<ref>http://en.wikipedia.org/wiki/Caravan_raids</ref> উদাহরণ হিসেবে ব্যাবহার করে । মুহম্মদ (সঃ) ৬২২ খ্রিঃ থেকে ৬৩০খ্রিঃ পর্যন্ত এরকম ৬৪ টি আক্রমণ সংঘটিত করেছেন যেগুলোর মধ্যে ২৭ টি সংঘটিত হয়েছে তাঁর নিজস্ব পরিচালনায় । | |||
* | *আরো তথ্যের জন্য দেখুন: [http://wikiislam.com/wiki/Misconceptions_about_Jihad#You_Cannot_Kill_Non-Combatants.3F Scholars on killing civilian non combatants] | ||
=== | ===অসামরিক লোকদের হত্যা করা=== | ||
[[File:Palestinians celebrate nine eleven 1.jpg|thumb|right|130px| | [[File:Palestinians celebrate nine eleven 1.jpg|thumb|right|130px|ফিলিস্তিনিরা আমেরিকায় সংঘটিত ৯/১১ এর সন্ত্রাসী হামলায় ২,৯১৯ জনের মৃত্যুকে উদযাপন করছে এবং [http://www.youtube.com/watch?v=KrM0dAFsZ8k বিনামূল্যে মিষ্টি বিতরণ করছে]]] | ||
মুহম্মদ (সঃ) বানু নাদির, বানু কুরাইযা ([[The Genocide of Banu Qurayza|Banu Qurayza]]) এবং অন্যান্য ইহুদি গোত্রগুলোর সাথে একটি শান্তি চুক্তি করার কিছুকাল পর তারা চুক্তি ভঙ্গ করল । যদিও মুহম্মদ (সঃ) শুধুমাত্র তিন নেতাকে শান্তি চুক্তি ভঙ্গকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন, তিনি সকল ইহুদি পুরুষ এবং সাবালককে শিরচ্ছেদের আদেশ দিয়েছিলেন । .<ref>"''...আতিয়্যাহ আল-কুরাযি বর্ণনা করেছেন:আমি বানু কুরাইযার বন্দীদের মধ্যে ছিলাম । তাঁরা (সাহাবীরা) আমাদের পরীক্ষা করলেন, এবং যাদের চুল (pubic) গজানো শুরু হয়েছিল তাদেরকে হত্যা করা হল, আর যাদের সেটা ছিল না তাদেরকে হত্যা করা হয়নি । আমি তাদের মধ্যে ছিলাম যাদের চুল গজায় নি ।''"- {{Abudawud|38|4390}}</ref> সামরিক এবং অসামরিক সকলক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষকে শিরচ্ছেদ করা হয়েছিল এবং নারী ও শিশুদের বন্দী করে যুদ্ধের সরঞ্জাম ও ঘোড়ার বিনিময়ে বিক্রয় করা হয়েছিল ।<ref>Haykal, Muhammad Husayn (Author). Al-Faruqi, Ismail Raji (Translator). (2002). The Life of Muhammad. (p. 338). Selangor, Malaysia: Islamic Book Trust.</ref> এই ঘটনাটি ঘটেছিল খন্দকের যুদ্ধে । সন্ত্রাসবাদীরা এই ঘটনাটিকে আমেরিকার অসামরিকদের উপর আক্রমণের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণে ব্যাবহার করে ।<ref>[http://books.google.com/books?id=_ScS1MjUzdYC&printsec=frontcover&hl=de&sig=4v9XMEdNJvqmnHJYYLw2lHcAg2I#v=onepage&q=&f=false The historical Muhammad] - Von Irving M. Zeitlin</ref><ref>[http://realmuhammad.info/BanuNadir.html The Expulsion of Banu Nadir]</ref><ref name="Peterson">Peterson, Muhammad: the prophet of God, p. 125-127.</ref><ref name="Peterson"/><ref name="Ramadan140">Ramadan, In the Footsteps of the Prophet, p. 140f.</ref><ref name="Ramadan140"/><ref>Hodgson, The Venture of Islam, vol. 1, p. 191.</ref><ref>Brown, A New Introduction to Islam, p. 81.</ref>. ওমার বাকরি এই হাদিসটি কেন সন্ত্রাসবাদ এবং অসামরিকদের হত্যা করা অনুমোদিত তা প্রমাণে ব্যাবহার করেছেন ।<ref>[http://video.google.com/videoplay?docid=5532956235787015675# Islam - A mufti explains, why Muhammad killed Women and Children]</ref> | |||
=== | ===ইহুদি হত্যার গ্রহণযোগ্যতা=== | ||
{{Main|Islamic Antisemitism}} | {{Main|Islamic Antisemitism}} | ||
কুরআন হাদিসে ইহুদি-বিদ্বেষের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে । তবে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরক্ষা আন্দোলন, হামাস অসামরিক ইহুদি হত্যা করার গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণে নিম্নোক্ত হাদিস ব্যাবহার করে, যেটি তারা তাদের সনদপত্রেও নথিভুক্ত করেছে ,<ref>[http://www.mideastweb.org/hamas.htm Hamas Charter] - MidEast Web Historical Documents</ref> অন্যান্য অনেক যাজক এবং পণ্ডিতরাও<ref>[http://www.youtube.com/watch?v=f4XH6R8G4Mw Saudi Cleric: Jews Plant Gharqad Trees to Hide Behind When Muslims Come to Kill Them on Judgment Day] - MEMRI</ref> ইহুদি হত্যাকে গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার জন্য উক্ত আয়াতকে উল্লেখ করেছেন । | |||
{{Quote|1={{Muslim|41|6985}}, | {{Quote|1={{Muslim|41|6985}}, এগুলোও দেখুন: {{Muslim|41|6981}}, {{Muslim|41|6982}}, {{Muslim|41|6983}}, {{Muslim|41|6984}}, এবং {{Bukhari|4|56|791}}|2= আবু হুরাইরা কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হউক) বলেছেনঃ কেয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত মুসলিমরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং মুসলিমরা ইহুদিদেরকে হত্যা করবে যতক্ষণ পর্যন্ত ইহুদিরা পাথর অথবা গাছের পিছনে লুকাবে এবং সেই গাছ অথবা পাথর বলবেঃ হে মুসলিম, অথবা আল্লাহর বান্দা, আমার পিছনে একজন ইহুদি আছে ; এসো এবং তাঁকে হত্যা কর; কিন্তু গারকাদ গাছ ছাড়া, কারণ এটা ইহুদিদের গাছ । }} | ||
=== | ===শিশুদের হত্যা করা=== | ||
আগেই দেখানো হয়েছে যে, অমুসলিমদের থেকে মুহম্মদ (সঃ) এর ( সে অর্থে ইসলাম এর) একটি শিশুর সংজ্ঞা ভিন্ন । ইসলাম এ একজন বালকের যখন বালেগ হয় (বয়ঃসন্ধি) তখন তাকে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে ধরা হয় । যাই হোক, এই অনুচ্ছেদে শিশু বলতে আমরা ইসলামী মতের শিশুকে বোঝাব । যদিও মুহম্মদ (সঃ) নারী এবং 'শিশু' হত্যা নিষেধ করেছেন, কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মত দিয়েছেন ।যখন তিনি যুদ্ধে ছিলেন, তখন তাঁর একজন সাহাবী এসে তাঁকে বলল যে তাঁরা গোলা ব্যাবহারের সময় মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশু খুঁজে পেয়েছেন । | |||
{{Quote|{{Bukhari|4|52|256}}|" | {{Quote|{{Bukhari|4|52|256}}|"নবীজী (সঃ) আল-আবওয়া অথবা ওয়াদ্দান নামক স্থানে আমার পাশ দিয়ে গেলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল যে যেখানে নারী এবং শিশুদের বিপদে পড়ার সম্ভাবনা আছে সেখানে পৌত্তলিক যোদ্ধাদের আক্রমণ করা ন্যায়সঙ্গত হবে কিনা । নবীজী (সঃ) উত্তরে বললেন, " তারা (অর্থাৎ নারী এবং শিশুরা ) তাদের (অর্থাৎ পৌত্তলিকদের) থেকেই আগত । "}} | ||
মুহম্মদ (সঃ) "তারা তাদেরই" এই কথাটি বলেছেন তিন বার যখন শিশুদেরকে হত্যা করা হয়েছিল । | |||
{{Quote|{{Muslim|19|4322}}| | {{Quote|{{Muslim|19|4322}}|সা'দ বিন জাসসামা বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নবজি(সঃ) কে বললেন," আল্লাহর রাসুল, আমরা রাতের আক্রমণগুলোতে মুশরিকদের শিশুদের হত্যা করি ।" তিনি বললেন ," তারা তাদের থেকেই আগত ।"}} | ||
সন্ত্রাসী আক্রমনে নারী এবং শিশুদের বিপদে পড়ার অথবা হত্যার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কি যুক্তিতে আক্রমণ পরিছালনা করা যাবে তা প্রমাণে মুসলিম সন্ত্রাসবাদীরা এটি ব্যাবহার করে । দুর্ঘটনাবশত শিশুদের মৃত্যু ঘটলে তা ইসলামী আইনের লঙ্ঘন হবে না - এটি প্রমাণে মুসলিম যাজক ওমার বাকরি মুহম্মাদ এই হাদিসটিকে ইঙ্গিত করেন ।<ref>[http://video.google.com/videoplay?docid=5532956235787015675# Islam - A mufti explains, why Muhammad killed Women and Children]</ref> | |||
=== | ===সমকামীদের হত্যার প্রমাণ=== | ||
{{Main|Islam and Homosexuality}} | {{Main|Islam and Homosexuality}} | ||
অনেক সন্ত্রাসবাদী, এমনকি ইসলামী পণ্ডিতরাও হাদিসের মাধ্যমে সমকামীদের হত্যার বৈধতা প্রমাণ করেছেন । একারণে সমকামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আক্রমণ দেখা গেছে ইরাকের মত দেশগুলোতে যেখানে বর্তমানে ডেথ স্কোয়াড(Death Squad) পরিচালিত হচ্ছে ।<ref>Ben Lando - [http://www.iraqoilreport.com/security-conflict/iraqi-gay-community-a-target-1950/ Iraqi gay community a target] - Iraq Oil Report, July 9, 2009</ref><ref>[http://www.queerty.com/iraqs-new-hospital-patients-gay-men-20090424/ Iraq's New Hospital Patients: Gay Men] - Queerty, April 24, 2009</ref> তারা তাদের এই আক্রমণকে মুহম্মদ(সঃ) এর শিক্ষা এবং কাজকে ভিত্তি করে গ্রহণযোগ্যতা দেয় , যিনি বলেছেন, | |||
{{Quote|1={{Abudawud|38|4447}}|2= | {{Quote|1={{Abudawud|38|4447}}|2=তোমাদের মধ্যে যে কেউই যদি লুত জাতির লোকদের মত কার্যকলাপ করছে এরকম খুঁজে পাও, হত্যা কর তাকে যে এটা করে এবং তাকেও যার প্রতি এটা করা হয় ।<ref>[http://www.scribd.com/doc/8949381/The-Ruling-for-Homosexuals The Ruling for Homosexuals] - Fatwa from IslamOnline</ref>}} | ||
ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর(রঃ) (আয়েশা (রঃ)([[Aisha]]) এর পিতা ) একজন সমকামীকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিলেন । চতুর্থ খলিফা মুহম্মদ(সঃ) এর চাচাত ভাই, হযরত আলী (রঃ) এক পায়ুকামীকে মসজিদের মিনার থেকে ছুড়ে ফেলতে আদেশ দিয়েছিলেন । অন্যান্যদের তিনি প্রস্তারাঘাতে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন । প্রাথমিক সময়ের অন্যতম কুরআন ব্যাখ্যাকারী ইবনে আব্বাস (রঃ) ( মৃত্যুবরণ ৬৮৭) শাস্তি প্রদানের এই দুই পন্থাকে মিশ্রিত করে দুই ধাপী হত্যা প্রক্রিয়া তৈরি করেছেন যেটাতে বলা হয়েছে," পায়ুকামীদের মসজিদের মিনার থেকে ছুড়ে ফেলা হবে, তারপর পাথর দ্বারা আঘাত করা হবে ।" পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হল যে, যদি কোন সুউচ্চ স্থাপনা পাওয়া না যায় তবে তাকে পর্বতচূড়া থেকে ফেলে দেয়া যেতে পারে ।<ref name="Homosexuals"></ref> এই সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকা সত্ত্বেও, অনেক বিচারক কোন পদ্ধতিতে শাস্তি দেয়া হবে সে বিষয়ে বিতর্ক করে থাকেন ।<ref name="Homosexuals">Serge Trifkovic - [http://97.74.65.51/readArticle.aspx?ARTID=20145 Islam's Love-Hate Relationship with Homosexuality] - FrontPageMag, January 24, 2003</ref> | |||
=== | ===ধর্মত্যাগীদের (যারা ইসলামধর্ম ত্যাগ করে) হত্যা করা=== | ||
{{Main|Islam and Apostasy}} | {{Main|Islam and Apostasy}} | ||
ইসলামী মতানুসারে, ইসলাম ধর্ম ত্যাগকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড ভোগ করতে হবে । ১৯৯২ সালে মুসলিম সেনারা ফারাগ ফোদা নামক এক মিসরীয় নাস্তিককে গুলি করে হত্যা করে । তারা দাবি করেছিল যে, তারা এটা করেছে কারণ নবীজী (সঃ) ধর্মত্যাগীদের হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন । | |||
ফারাগ ফোদার মৃত্যুর আগে তাকে ধর্মত্যাগী ([[Apostasy|apostate]]) এবং ইসলামের শত্রু হিসেবে ঘোষণা করা হয় ।আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন পণ্ডিত, মুহম্মদ আল-গাযালি আদালতের সাক্ষী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন যে, ইসলাম এর একজন শত্রুকে হত্যা করা ভুল কাজ নয় । আল-গাযালি বলেছেন, | |||
{{Quote|| | {{Quote||প্রকৃতপক্ষে ফারাগ ফোদাকে হত্যা হল ধর্মত্যাগীর বিরুদ্ধে শাস্তিকে প্রয়োগ করা যেটা ইমাম (মুসলিমদের নেতা) প্রয়োগ (দায়ভার নিতে) করতে ব্যর্থ হয়েছেন ।<ref>Ana Belén Soage - [http://meria.idc.ac.il/journal/2007/issue2/jv11no2a3.html FARAJ FAWDA, OR THE COST OF FREEDOM OF EXPRESSION] - MERIA, June 8, 2007</ref>}} | ||
এর কারণ হল মুহম্মদ (সঃ) এর বাণী, যিনি বলেছেন, | |||
{{Quote|{{Bukhari|9|84|57}}|"' | {{Quote|{{Bukhari|9|84|57}}|"'যে ব্যক্তিই তার ইসলাম ধর্মকে পরিবর্তন করল, তখন তাকে হত্যা কর'"}} | ||
তাঁর একজন অনুসারী একজন ইহুদি ব্যক্তি যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আবার ইহুদি হয়েছে, তার খবর পাওয়ার পর তাকে হত্যা না করা পর্যন্ত বসতে অসম্মতি জানান । শুধুমাত্র তাকে হত্যা করে আসার পরি তিনি তা করলেন।<ref>"''...."I will not sit down till he has been killed. This is the judgment of Allah and His Apostle (for such cases) and repeated it thrice. Then Abu Musa ordered that the man be killed, and he was killed....''" - {{Bukhari|9|84|58}}</ref> | |||
=== | ===যারা মুহম্মদ(সঃ) কে বিদ্রুপ করে তাদের হত্যা করা=== | ||
{{Main|Islam and Freedom of Speech}} | {{Main|Islam and Freedom of Speech}} | ||
ইসলামী পণ্ডিতরা ঘোষণা দিয়েছেন যে, যদি কোন ব্যক্তি মুহম্মদ(সঃ) কে বিদ্রুপ করে তাঁকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে । | |||
{{Quote|[http://islamicemirate.com/Books/Ibn%20Taymiyyah%20on%20Killing%20Whoever%20Curses%20the%20Prophet.pdf The Drawn Sword Against the One Who Curses the Messenger - Pages 31-33]<BR>Ibn Taymiyyah| | {{Quote|[http://islamicemirate.com/Books/Ibn%20Taymiyyah%20on%20Killing%20Whoever%20Curses%20the%20Prophet.pdf The Drawn Sword Against the One Who Curses the Messenger - Pages 31-33]<BR>Ibn Taymiyyah|যে ব্যক্তি নবীজিকে (তাঁর উপর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হউক) অভিশাপ দেয়, সে হোক মুসলিম কিংবা কাফির, অবশ্যই তাকে হত্যা করতে হবে।}} | ||
{{Quote|[http://islamicemirate.com/Books/Ibn%20Taymiyyah%20on%20Killing%20Whoever%20Curses%20the%20Prophet.pdf The Drawn Sword Against the One Who Curses the Messenger - Pages 31-33]<BR>Ibn Al-Munthir|" | {{Quote|[http://islamicemirate.com/Books/Ibn%20Taymiyyah%20on%20Killing%20Whoever%20Curses%20the%20Prophet.pdf The Drawn Sword Against the One Who Curses the Messenger - Pages 31-33]<BR>Ibn Al-Munthir|"সাধারণ পণ্ডিতরা একমত হয়েছেন যে, যেই মুহম্মদ ( তাঁর উপর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হউক) কে অভিশাপ দেয়, তাকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে । এই বক্তব্য দিয়েছেন মালিক, আল-লাইস,আহমাদ,ইসহাক এবং আশ-শাফিয়ি, এবং নু'মান (আবু হানিফা) বলেছেন যে, জিম্মি ( কর প্রদানকারী অমুসলিম অধিবাসী) দের হত্যা করা হবে না ।"}} | ||
{{Quote|[http://www.islam-qa.com/en/ref/22809/insulting%20the%20prophet Ruling on one who insults the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him)]<br>Shaykh al Munajid - Islam Q&A - Fatwa No. 22809| | {{Quote|[http://www.islam-qa.com/en/ref/22809/insulting%20the%20prophet Ruling on one who insults the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him)]<br>Shaykh al Munajid - Islam Q&A - Fatwa No. 22809|নবীজী (তাঁর উপর শান্তি এবং রহমত বর্ষিত হউক) কখনো কখনো তাঁর বিদ্রুপকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আবার কখনো '''তাকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন''', যদি তা গুরুতর হয়ে থাকে । কিন্তু এখনকার সময়ে তাঁর ক্ষমা পাওয়া সম্ভব নয় কারণ তিনি এখন জীবিত নন , তাই বিদ্রুপকারীকে হত্যা করাই আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং বিশ্বাসীদের অধিকারে থাকে , এবং যার মৃত্যুদণ্ডের অপরাধ হয়েছে তাকে ছেড়ে দেয়া যায় না, সুতরাং শাস্তি অবশ্যই প্রদান করতে হবে । | ||
Al-Saarim al-Maslool, 2/438 | Al-Saarim al-Maslool, 2/438 | ||
নবীজী (তাঁর উপর শান্তি এবং রহমত বর্ষিত হউক) কে বিদ্রুপ করা নিষেধকৃত নিকৃষ্ট কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম , এবং পণ্ডিতদের ঐকমতের অনুযায়ী, এটা অবিশ্বাস এবং ইসলাম ধর্মত্যাগের পরিচয় প্রদান করে ,সেটা যেভাবেই করা হোক ইচ্ছাকৃত বা কৌতুকের বশে । যে এটা করে তাকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে '''যদিও সে অনুতাপ প্রকাশ করে''' এবং সে মুসলিম বা কাফির যেই হয়ে থাকুক ।}} | |||
''' | '''মুহম্মদ(সঃ) এবং তাঁর ইহুদি প্রতিবেশি'''<BR> | ||
কতিপয় মুসলিম বলে থাকে যে মুহম্মদ(সঃ) এর একজন ইহুদি প্রতিবেশি ছিল যে তাঁর প্রতি আবর্জনা নিক্ষেপ করত । একদিন ঐ ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় মুহম্মদ(সঃ) তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন । এতে ঐ ব্যক্তি মুগ্ধ হয়ে ইসলাম কবুল করলেন । কিন্তু এই ঘটনাটি কোন ইসলামী গ্রন্থ বা হাদিসে উল্লেখিত হয় নি । তাই এটাকে বানানো গল্প হিসেবে মনে করা হয় । এটি সম্বন্ধে কোন পণ্ডিতও উল্লেখ করেন নি । | |||
মুহম্মদ(সঃ) বলেছেন: | |||
{{Quote| | {{Quote|{{Muslim|19|4366}}|আমি ইহুদি ও খ্রিস্টানদের আরব সীমানা থেকে বিতাড়িত করব এবং কোন মুসলিমকে ত্যাগ করব না ।}} | ||
সুতরাং, এ থেকে বলা যায় তাঁর জীবন সীমায় আশেপাশের সবাই মুসলিম হয়ে গিয়েছিল বা তাঁর কোন অমুসলিম প্রতিবেশী ছিল না । | |||
=== | ===আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ঘৃণা করা=== | ||
{{Main|Love and Hate in Islam}} | {{Main|Love and Hate in Islam}} | ||
মুহম্মদ(সঃ) বলেছেন: | |||
{{Quote|{{Abudawud|40|4582}}| | {{Quote|{{Abudawud|40|4582}}|কাজগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম হল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ভালবাসা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ঘৃণা করা ।}} | ||
অনেক মুসলিম এই উক্তিকে এটা প্রমাণে ব্যাবহার করেছেন যে যেটাকে তারা অবিশ্বাস(কুফর) মনে করেন সেটাকে ঘৃণা করতে হবে । মুহম্মদ(সঃ) এটাও বলেছেন যে, জিহাদে অংশগ্রহণ করা হচ্ছে দ্বিতীয় সর্বোত্তম কাজ । | |||
{{Quote|{{Bukhari|1|2|25}}| | {{Quote|{{Bukhari|1|2|25}}|আল্লাহর নবীকে জিজ্ঞাসা করা হল,"সর্বোত্তম কাজ কোনটি?" তিনি উত্তরে বললেন, " আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সঃ) এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা । প্রশ্নকর্তা তারপর জিজ্ঞেস করল,"এর পরে (দ্বিতীয় সর্বোত্তম) কোনটি? তিনি উত্তর দিলেন,"আল্লাহর পথে জিহাদে (ধর্মীয় যুদ্ধ) অংশগ্রহণ করা ।"}} | ||
== | ==সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে পণ্ডিতরা== | ||
{{Main|Qur'an, Hadith and Scholars:Scholars on Jihad}} | {{Main|Qur'an, Hadith and Scholars:Scholars on Jihad}} | ||
জিয়াউদ্দিন বারানি (১২৮৫-১৩৫৭) তাঁর বই ফাতওয়া-ই জাহান্দারিতে বলেন: | |||
{{Quote|Ziauddin Barani, Fatwa| | {{Quote|Ziauddin Barani, Fatwa|মুসলিমদের অনুগ্রহ এবং সম্মান করা হবে; নাস্তিক এবং খারাপ বিশ্বাসের লোকেরা নিঃস্ব এবং অপদস্থ হবে; বেআইনি নির্দেশ এবং বাঁধাগ্রস্ত ধর্মবিশ্বাসগুলো উৎপাটন করা হবে; ৭২ টি সম্প্রদায়ের উপর শারিয়াহ আইন জোরদার করা হবে; এবং সৃষ্টিকর্তা এবং তাঁর রাসুলের শত্রুদের '''দোষারোপ, বিতাড়িত, পরিত্যাগ এবং ভয় দেখানো হবে'''}} | ||
ড. ইয়ুসুফ আযযাম আক্রমণাত্মক জিহাদের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বলেছেন: | |||
{{Quote|[http://www.islamicemirate.com/fiqh-jurisprudence/jihad/1544-offensive-jihad-vs-defensive-jihad.html%20IslamicEmirate.com Offensive Jihad Vs. Defensive Jihad]<BR>Sheikh Abdullah Azzam|" | {{Quote|[http://www.islamicemirate.com/fiqh-jurisprudence/jihad/1544-offensive-jihad-vs-defensive-jihad.html%20IslamicEmirate.com Offensive Jihad Vs. Defensive Jihad]<BR>Sheikh Abdullah Azzam|"অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে জিহাদ হল দুই প্রকার: আক্রমণাত্মক জিহাদ (যেখানে শত্রুদের নিজস্ব ভূমিতে গিয়ে আক্রমণ করা হয়) ...[এবং] প্রতিরক্ষামূলক জিহাদ । যেটা অবিশ্বাসীদের আমাদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করছে, এবং এটা হল ফরজে আইন [প্রতিটি মুসলিমের ব্যক্তিগত ধর্মীয় কর্তব্য], সবার উপর একটি বাধ্যতামূলক দায়িত্ব... | ||
... | ...যেখানে কুফফাররা [অবিশ্বাসী] মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য জড় হচ্ছে না, সেখানে যুদ্ধ হয়ে যায় ফরজে কিফায়া [মুসলিম সমাজের উপর সামগ্রিক ধর্মীয় কর্তব্য] যেটাতে কেবল ন্যূনতম প্রয়োজনীয় বিশ্বাসীদের সীমানা পাহারায় নিয়োগ করা হয়, এবং বছরে কমপক্ষে একবার একদল সৈন্য '''আল্লাহর শত্রুদের ভয় দেখানোর জন্য''' পাঠানো হয় । <ref>http://www.religioscope.com/info/doc/jihad/azzam_defence_3_chap1.htm</ref>}} | ||
== | ==আরো পড়ুন== | ||
* [[Misconceptions about Jihad]] | * [[Misconceptions about Jihad]] | ||
Line 149: | Line 149: | ||
* [[The Root of Terrorism a la Islamic style|The Root of Terrorism a la Islamic style - The Diary of Muhammad]] | * [[The Root of Terrorism a la Islamic style|The Root of Terrorism a la Islamic style - The Diary of Muhammad]] | ||
== | ==রেফারেন্সেস== | ||
{{reflist}} | {{reflist}} | ||
[[Category: | [[Category:বাংলা (Bengali)]] | ||
Latest revision as of 00:05, 22 February 2021
অনেক ইসলামী (সন্ত্রাসবাদী) সংগঠন ব্যাখ্যা করেছে ইসলামে(Islam) কেন সন্ত্রাসবাদের অনুমতি আছে । হামাস এবং আল কায়েদা(Al Qaeda) এর মত সংস্থাগুলো এর ব্যাখ্যা দিয়েছে কুরআন(Qur'an) এবং হাদিস(Hadis) থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে ।
পবিত্র কুরআনে এর সত্যতা
একজন মুসলিমকে হত্যা করা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করা
অনেক মুসলিম এবং অমুসলিম Quran 5:32 এর উল্লেখ করে ইসলাম ধর্মে কোন প্রকারের হত্যা কে নিন্দা জ্ঞাপন করে এবং বলে যে, একজন মানুষ কে হত্যা করা পুরো মানবজাতির উপর গণহত্যা চালানোর সামিল । এখন দেখা যাক কুরআনের সূরা মায়িদার উক্ত আয়াতে কী বলা আছে,
আয়াতটির তাৎপর্য
বহুল সম্মানিত এবং গ্রহনকৃত ইবনে কাসীর এর তাফসীর অনুযায়ী - প্রাথমিক দিকের কুরআন ব্যাখ্যাকারী, সায়ীদ ইবনে জুবাইর (যিনি মুহম্মদ(সঃ) এর সময় বেঁচে ছিলেন, এবং আয়েশা(রঃ) এর সাহাবী ছিলেন), বলেছেন:
Tafsir Ibn Kathir
সাধারণভাবে সন্ত্রাসবাদ
শাইখ ওসামা বিন লাদেন
সাইফুল্লাহ(Saifullah) শায়খ ওসামা বিন লাদেন(Osama Bin Laden) (জন্মগ্রহণ ১৯৫৭), সেপ্টেম্বর ১১ (সন্ত্রাসী আক্রমণ)(September 11 attacks) এর জন্য বহুল পরিচিত, সন্ত্রাসবাদকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রমাণ করার জন্য আল কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়েছেন,[1] such as:
ড. জাকির নায়েক
কয়েকজন সুনির্দিষ্ট পণ্ডিত যেমন ড. জাকির নায়েক (Zakir Naik) (জন্মগ্রহণ অক্টোবর ১৮, ১৯৬৫) বলেছেন যুদ্ধ এবং সমাজের অপকর্মগুলোকে (যেগুলো ইসলামী দৃষ্টিতে) প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সকল মুসলিমকেই সন্ত্রাস হওয়া উচিত, কিন্তু তিনি এরকম সন্ত্রাসবাদকে অস্বীকার করেছেন যেটা নির্দোষ জনসাধারণকে আক্রমণ ও হত্যা করে । তিনি এর পেছনে এই যুক্তি দান করেন যে, নিম্নোক্ত কুরআনের আয়াতগুলো কেবলমাত্র যুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । তাঁকে নিম্নোক্ত আয়াতটি সম্পর্কে তার মতামত জানতে চাইলে
তিনি উত্তরে বললেন:
হাদীসে এর গ্রহণযোগ্যতা
অসামরিকরা লক্ষ্যবস্তু
সন্ত্রাসবাদীরা সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি অসামরিকদের আক্রমণকে গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের ক্ষেত্রে মুহম্মদ (সঃ) এবং তার সাহাবীদের দ্বারা মদিনা দিয়ে অতিক্রমকারী মক্কার কুরাইশদের অনেকগুলো কাফেলা আক্রমণকে (Caravan Raids)[4] উদাহরণ হিসেবে ব্যাবহার করে । মুহম্মদ (সঃ) ৬২২ খ্রিঃ থেকে ৬৩০খ্রিঃ পর্যন্ত এরকম ৬৪ টি আক্রমণ সংঘটিত করেছেন যেগুলোর মধ্যে ২৭ টি সংঘটিত হয়েছে তাঁর নিজস্ব পরিচালনায় ।
- আরো তথ্যের জন্য দেখুন: Scholars on killing civilian non combatants
অসামরিক লোকদের হত্যা করা
মুহম্মদ (সঃ) বানু নাদির, বানু কুরাইযা (Banu Qurayza) এবং অন্যান্য ইহুদি গোত্রগুলোর সাথে একটি শান্তি চুক্তি করার কিছুকাল পর তারা চুক্তি ভঙ্গ করল । যদিও মুহম্মদ (সঃ) শুধুমাত্র তিন নেতাকে শান্তি চুক্তি ভঙ্গকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন, তিনি সকল ইহুদি পুরুষ এবং সাবালককে শিরচ্ছেদের আদেশ দিয়েছিলেন । .[5] সামরিক এবং অসামরিক সকলক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষকে শিরচ্ছেদ করা হয়েছিল এবং নারী ও শিশুদের বন্দী করে যুদ্ধের সরঞ্জাম ও ঘোড়ার বিনিময়ে বিক্রয় করা হয়েছিল ।[6] এই ঘটনাটি ঘটেছিল খন্দকের যুদ্ধে । সন্ত্রাসবাদীরা এই ঘটনাটিকে আমেরিকার অসামরিকদের উপর আক্রমণের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণে ব্যাবহার করে ।[7][8][9][9][10][10][11][12]. ওমার বাকরি এই হাদিসটি কেন সন্ত্রাসবাদ এবং অসামরিকদের হত্যা করা অনুমোদিত তা প্রমাণে ব্যাবহার করেছেন ।[13]
ইহুদি হত্যার গ্রহণযোগ্যতা
কুরআন হাদিসে ইহুদি-বিদ্বেষের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে । তবে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরক্ষা আন্দোলন, হামাস অসামরিক ইহুদি হত্যা করার গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণে নিম্নোক্ত হাদিস ব্যাবহার করে, যেটি তারা তাদের সনদপত্রেও নথিভুক্ত করেছে ,[14] অন্যান্য অনেক যাজক এবং পণ্ডিতরাও[15] ইহুদি হত্যাকে গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার জন্য উক্ত আয়াতকে উল্লেখ করেছেন ।
শিশুদের হত্যা করা
আগেই দেখানো হয়েছে যে, অমুসলিমদের থেকে মুহম্মদ (সঃ) এর ( সে অর্থে ইসলাম এর) একটি শিশুর সংজ্ঞা ভিন্ন । ইসলাম এ একজন বালকের যখন বালেগ হয় (বয়ঃসন্ধি) তখন তাকে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে ধরা হয় । যাই হোক, এই অনুচ্ছেদে শিশু বলতে আমরা ইসলামী মতের শিশুকে বোঝাব । যদিও মুহম্মদ (সঃ) নারী এবং 'শিশু' হত্যা নিষেধ করেছেন, কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মত দিয়েছেন ।যখন তিনি যুদ্ধে ছিলেন, তখন তাঁর একজন সাহাবী এসে তাঁকে বলল যে তাঁরা গোলা ব্যাবহারের সময় মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশু খুঁজে পেয়েছেন ।
মুহম্মদ (সঃ) "তারা তাদেরই" এই কথাটি বলেছেন তিন বার যখন শিশুদেরকে হত্যা করা হয়েছিল ।
সন্ত্রাসী আক্রমনে নারী এবং শিশুদের বিপদে পড়ার অথবা হত্যার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কি যুক্তিতে আক্রমণ পরিছালনা করা যাবে তা প্রমাণে মুসলিম সন্ত্রাসবাদীরা এটি ব্যাবহার করে । দুর্ঘটনাবশত শিশুদের মৃত্যু ঘটলে তা ইসলামী আইনের লঙ্ঘন হবে না - এটি প্রমাণে মুসলিম যাজক ওমার বাকরি মুহম্মাদ এই হাদিসটিকে ইঙ্গিত করেন ।[16]
সমকামীদের হত্যার প্রমাণ
অনেক সন্ত্রাসবাদী, এমনকি ইসলামী পণ্ডিতরাও হাদিসের মাধ্যমে সমকামীদের হত্যার বৈধতা প্রমাণ করেছেন । একারণে সমকামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আক্রমণ দেখা গেছে ইরাকের মত দেশগুলোতে যেখানে বর্তমানে ডেথ স্কোয়াড(Death Squad) পরিচালিত হচ্ছে ।[17][18] তারা তাদের এই আক্রমণকে মুহম্মদ(সঃ) এর শিক্ষা এবং কাজকে ভিত্তি করে গ্রহণযোগ্যতা দেয় , যিনি বলেছেন,
ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর(রঃ) (আয়েশা (রঃ)(Aisha) এর পিতা ) একজন সমকামীকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিলেন । চতুর্থ খলিফা মুহম্মদ(সঃ) এর চাচাত ভাই, হযরত আলী (রঃ) এক পায়ুকামীকে মসজিদের মিনার থেকে ছুড়ে ফেলতে আদেশ দিয়েছিলেন । অন্যান্যদের তিনি প্রস্তারাঘাতে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন । প্রাথমিক সময়ের অন্যতম কুরআন ব্যাখ্যাকারী ইবনে আব্বাস (রঃ) ( মৃত্যুবরণ ৬৮৭) শাস্তি প্রদানের এই দুই পন্থাকে মিশ্রিত করে দুই ধাপী হত্যা প্রক্রিয়া তৈরি করেছেন যেটাতে বলা হয়েছে," পায়ুকামীদের মসজিদের মিনার থেকে ছুড়ে ফেলা হবে, তারপর পাথর দ্বারা আঘাত করা হবে ।" পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হল যে, যদি কোন সুউচ্চ স্থাপনা পাওয়া না যায় তবে তাকে পর্বতচূড়া থেকে ফেলে দেয়া যেতে পারে ।[20] এই সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকা সত্ত্বেও, অনেক বিচারক কোন পদ্ধতিতে শাস্তি দেয়া হবে সে বিষয়ে বিতর্ক করে থাকেন ।[20]
ধর্মত্যাগীদের (যারা ইসলামধর্ম ত্যাগ করে) হত্যা করা
ইসলামী মতানুসারে, ইসলাম ধর্ম ত্যাগকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড ভোগ করতে হবে । ১৯৯২ সালে মুসলিম সেনারা ফারাগ ফোদা নামক এক মিসরীয় নাস্তিককে গুলি করে হত্যা করে । তারা দাবি করেছিল যে, তারা এটা করেছে কারণ নবীজী (সঃ) ধর্মত্যাগীদের হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন ।
ফারাগ ফোদার মৃত্যুর আগে তাকে ধর্মত্যাগী (apostate) এবং ইসলামের শত্রু হিসেবে ঘোষণা করা হয় ।আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন পণ্ডিত, মুহম্মদ আল-গাযালি আদালতের সাক্ষী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন যে, ইসলাম এর একজন শত্রুকে হত্যা করা ভুল কাজ নয় । আল-গাযালি বলেছেন,
এর কারণ হল মুহম্মদ (সঃ) এর বাণী, যিনি বলেছেন,
তাঁর একজন অনুসারী একজন ইহুদি ব্যক্তি যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আবার ইহুদি হয়েছে, তার খবর পাওয়ার পর তাকে হত্যা না করা পর্যন্ত বসতে অসম্মতি জানান । শুধুমাত্র তাকে হত্যা করে আসার পরি তিনি তা করলেন।[22]
যারা মুহম্মদ(সঃ) কে বিদ্রুপ করে তাদের হত্যা করা
ইসলামী পণ্ডিতরা ঘোষণা দিয়েছেন যে, যদি কোন ব্যক্তি মুহম্মদ(সঃ) কে বিদ্রুপ করে তাঁকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে ।
Al-Saarim al-Maslool, 2/438
নবীজী (তাঁর উপর শান্তি এবং রহমত বর্ষিত হউক) কে বিদ্রুপ করা নিষেধকৃত নিকৃষ্ট কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম , এবং পণ্ডিতদের ঐকমতের অনুযায়ী, এটা অবিশ্বাস এবং ইসলাম ধর্মত্যাগের পরিচয় প্রদান করে ,সেটা যেভাবেই করা হোক ইচ্ছাকৃত বা কৌতুকের বশে । যে এটা করে তাকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে যদিও সে অনুতাপ প্রকাশ করে এবং সে মুসলিম বা কাফির যেই হয়ে থাকুক ।Shaykh al Munajid - Islam Q&A - Fatwa No. 22809
মুহম্মদ(সঃ) এবং তাঁর ইহুদি প্রতিবেশি
কতিপয় মুসলিম বলে থাকে যে মুহম্মদ(সঃ) এর একজন ইহুদি প্রতিবেশি ছিল যে তাঁর প্রতি আবর্জনা নিক্ষেপ করত । একদিন ঐ ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় মুহম্মদ(সঃ) তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন । এতে ঐ ব্যক্তি মুগ্ধ হয়ে ইসলাম কবুল করলেন । কিন্তু এই ঘটনাটি কোন ইসলামী গ্রন্থ বা হাদিসে উল্লেখিত হয় নি । তাই এটাকে বানানো গল্প হিসেবে মনে করা হয় । এটি সম্বন্ধে কোন পণ্ডিতও উল্লেখ করেন নি ।
মুহম্মদ(সঃ) বলেছেন:
সুতরাং, এ থেকে বলা যায় তাঁর জীবন সীমায় আশেপাশের সবাই মুসলিম হয়ে গিয়েছিল বা তাঁর কোন অমুসলিম প্রতিবেশী ছিল না ।
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ঘৃণা করা
মুহম্মদ(সঃ) বলেছেন:
অনেক মুসলিম এই উক্তিকে এটা প্রমাণে ব্যাবহার করেছেন যে যেটাকে তারা অবিশ্বাস(কুফর) মনে করেন সেটাকে ঘৃণা করতে হবে । মুহম্মদ(সঃ) এটাও বলেছেন যে, জিহাদে অংশগ্রহণ করা হচ্ছে দ্বিতীয় সর্বোত্তম কাজ ।
সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে পণ্ডিতরা
জিয়াউদ্দিন বারানি (১২৮৫-১৩৫৭) তাঁর বই ফাতওয়া-ই জাহান্দারিতে বলেন:
ড. ইয়ুসুফ আযযাম আক্রমণাত্মক জিহাদের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বলেছেন:
Sheikh Abdullah Azzam
আরো পড়ুন
রেফারেন্সেস
- ↑ Sheikh Osama bin Laden’s speech to the people of Pakistan - Translated From Urdu By Ahmed Al-Marid, September 26, 2007
- ↑ Islam and Terrorism - Dr Zakir Naik
- ↑ Dr Zakir Naik - Why are most of the Muslims fundamentalists and terrorists? - Misconceptions About Islam (FAQs)
- ↑ http://en.wikipedia.org/wiki/Caravan_raids
- ↑ "...আতিয়্যাহ আল-কুরাযি বর্ণনা করেছেন:আমি বানু কুরাইযার বন্দীদের মধ্যে ছিলাম । তাঁরা (সাহাবীরা) আমাদের পরীক্ষা করলেন, এবং যাদের চুল (pubic) গজানো শুরু হয়েছিল তাদেরকে হত্যা করা হল, আর যাদের সেটা ছিল না তাদেরকে হত্যা করা হয়নি । আমি তাদের মধ্যে ছিলাম যাদের চুল গজায় নি ।"- Sunan Abu Dawud 38:4390
- ↑ Haykal, Muhammad Husayn (Author). Al-Faruqi, Ismail Raji (Translator). (2002). The Life of Muhammad. (p. 338). Selangor, Malaysia: Islamic Book Trust.
- ↑ The historical Muhammad - Von Irving M. Zeitlin
- ↑ The Expulsion of Banu Nadir
- ↑ 9.0 9.1 Peterson, Muhammad: the prophet of God, p. 125-127.
- ↑ 10.0 10.1 Ramadan, In the Footsteps of the Prophet, p. 140f.
- ↑ Hodgson, The Venture of Islam, vol. 1, p. 191.
- ↑ Brown, A New Introduction to Islam, p. 81.
- ↑ Islam - A mufti explains, why Muhammad killed Women and Children
- ↑ Hamas Charter - MidEast Web Historical Documents
- ↑ Saudi Cleric: Jews Plant Gharqad Trees to Hide Behind When Muslims Come to Kill Them on Judgment Day - MEMRI
- ↑ Islam - A mufti explains, why Muhammad killed Women and Children
- ↑ Ben Lando - Iraqi gay community a target - Iraq Oil Report, July 9, 2009
- ↑ Iraq's New Hospital Patients: Gay Men - Queerty, April 24, 2009
- ↑ The Ruling for Homosexuals - Fatwa from IslamOnline
- ↑ 20.0 20.1 Serge Trifkovic - Islam's Love-Hate Relationship with Homosexuality - FrontPageMag, January 24, 2003
- ↑ Ana Belén Soage - FARAJ FAWDA, OR THE COST OF FREEDOM OF EXPRESSION - MERIA, June 8, 2007
- ↑ "...."I will not sit down till he has been killed. This is the judgment of Allah and His Apostle (for such cases) and repeated it thrice. Then Abu Musa ordered that the man be killed, and he was killed...." - Sahih Bukhari 9:84:58
- ↑ http://www.religioscope.com/info/doc/jihad/azzam_defence_3_chap1.htm